কালের খবরঃ
রাসেলস ভাইপারসহ যে কোন বিষধর সাপ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গোপালগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান গোপালগঞ্জ বাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা কেউ আতঙ্কিত হবেন না। রাসেলস ভাইপারসহ বিষাক্ত সর্প দংশনের পর চিকিৎসা করতে যে ওষুধ অ্যান্টিভেনোম দরকার তা গোপালগঞ্জের সকল সরকারি হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি হাসপাতালে স্নেক অ্যান্টিভেনোম রয়েছে। কেউকে যদি সাপে দংশন করে তাহলে ওঝাবাড়ি না গিয়ে আপনারা সরাসরি হাসপাতালে এসে ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিবেন। আজ সোমবার (২৪জুন)দুপুরে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সর্প দংশন বিষয়ক সচেতনতা মূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় গোপালগঞ্জ আড়াইশ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন,শতকরা ৭০ শতাংশ সাপের কামড়ে বিষ থাকেনা। যে ত্রিশ শতাংশ কামড়ে বিষ আছে তারও চিকিৎসা রয়েছে। সর্প দংশনের পর আক্রান্ত স্থানের উপরিভাগে ক্রেপ ব্যান্ডেজ বা বাঁশের চটা দিয়ে কাপড় পেচিয়ে দ্রুত হাসপাতালে চলে আসা। হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক আপনার কামড়ের ধরন দেখে চিকিৎসা দিবেন। বিজ্ঞান সম্মত চিকিৎসায় সর্প দংশন থেকে বাঁচা সম্ভব। দেরী করলে বা ওঝাবাড়ি গেলে জীবন হারানোর আশংঙ্কা থাকে।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আব্দুল লতিফ বলেন, ঘরের মধ্যে বা বাড়ির আশপাশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসস্থানের কাছাকাছি গর্ত থাকলে সেগুলো বন্ধ করতে হবে। ইঁদুর বা ব্যাঙ যাতে সেখানে অবস্থান করতে না পারে। কারন সাপ ইঁদুর ও ব্যাঙ খায়। রাতে অন্ধাকার স্থান দিয়ে চলাফেরার সময় টর্চ ও হাতে লাঠি নিয়ে চলতে হবে।
শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ও আলোচনা সভার ভোকাল পার্সন ডাঃ নাঈমুল ইসলাম মুনহাজ বলেন, সাপে কামড়ালে আক্রান্ত স্থানে সাবান বা ডিটারজেন্ট না লাগিয়ে সাদা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। আক্রান্তস্থানের উপর অংশে রক্ত চলাচলে বাধা না হয় এভাবে আলতো করে ক্রেপ ব্যান্ডেজ পেচিয়ে দ্রুত ডাক্তারের সরনাপন্ন হতে হবে। এসময় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ দীবাকর বিশ্বাসসহ পাঁচ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ, নার্স,স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply