কালের খবরঃ
এবার নির্বাচনী প্রচার ও ভোট চাইতে বেরিয়ে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য শতাব্দী রায়। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে গ্রামবাসীরা শতাব্দী রায়কে ঘিরে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন। শতাব্দী ধৈর্য ধরে সমস্ত অভিযোগ শোনেন এবং কাজ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে গ্রামবাসী বিক্ষোভ থামিয়ে শতাব্দীর নামে উল্টো জয়ধ্বনি দেন।
বীরভূম লোকসভার নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের নোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত গোকুলনগর গ্রাম এটি। রবিবার (৩১ মার্চ) সেখানেই প্রচারে গিয়েছিলেন শতাব্দী রায়। গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবি, রাস্তা সংস্কারের। বার বার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়। এই ক্ষোভে শতাব্দী গ্রামে যেতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন গ্রামের রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় যাতায়াতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। গ্রামবাসীরা দাবি তোলেন, ওই ভাঙ্গাচোরা, কর্দমাক্ত রাস্তায় পায়ে হেঁটে যেতে হবে শতাব্দীকে। এর পরেই শতাব্দী নিজে বিক্ষোভরত গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। আলোচনায় ক্ষোভের পারদ নিচে নামে। শতাব্দী তাদের জানান, কেন এত দিন কাজ হয়নি। ভোটের পর নতুন করে রাস্তা তৈরি করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। এর পরেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ থামান। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের শতাব্দীর নামে জয়ধ্বনি দিতে দেখা যায়।
এর আগের দিন শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে শতাব্দী বেশ হতাশ হয়ে জানিয়েছিলেন, ফাঁকা মাঠে খেলে মজা পাচ্ছেন না তিনি। কটাক্ষ করেছিলেন বিজেপিকে। কারণ তখনও পর্যন্ত বীরভূমে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি বিজেপি। রাতে ওই আসনে রাজনীতিতে নবাগত অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা করে পদ্মশিবির। রবিবার এ নিয়েও শতাব্দীকে প্রশ্ন করা হয়। জানতে চাওয়া হয়, বিজেপি প্রার্থী ঘোষণার পরেও কি তিনি জয় নিয়ে একই রকম আশাবাদী? তার জবাবে অভিনেত্রী তথা চার বারের সাংসদ শতাব্দী বলেন, ‘‘আমি এ বার ২০০ শতাংশ আশাবাদী জয়ের ব্যাপারে।’’
Design & Developed By: JM IT SOLUTION
Leave a Reply