বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

কোটালীপাড়ায় এইচএসসি পরীক্ষায় নকল ধরে ডিউটি থেকে অব্যহতি শিক্ষককে

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪, ৬.৪৫ পিএম
  • ৪৬ Time View

কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ

পরীক্ষায় নকল  ধরায় এইচএসসি পরীক্ষার ডিউটি থেকে শিক্ষককে অব্যহতি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া-২ কেন্দ্রের টিটি স্কুল ভেন্যুতে এই ঘটনা ঘটেছে।এই ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রভাষক নেছারউদ্দিন তালুকদার স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন মোল্লা গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারী আশরাফ উদ্দিন মোল্লা তার লিখিত আবেদনে বলেন, গত ২ জুলাই  জেলার কোটালীপাড়া-২ কেন্দ্রের টিটি স্কুল ভেন্যুর ৪০৭ নং কক্ষে কক্ষ প্রধান হিসেবে আমি ডিউটি করছিলান। পরীক্ষা চলাকালে ওই কক্ষের পাঁচজন পরীক্ষার্থী  অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেটের মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করছিলো। আমি নকলে বাধা দিয়ে তাদের কাছ থেকে ৫টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট উদ্ধার করি । সেটগুলো ভেন্যুর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার রায়ের কাছে জমা দেই । পরে আমি বিষয়টি হল সুপার ললিত কুমার বৈদ্য, সংযুক্ত কর্মকর্তা ও কোটালীপাড়া উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মোল্লাকে অবহিত করি। পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন না করে মোবাইল সেট ফেরত দেওয়া হয়। এবং যুব উন্নয়ণ কর্মকর্তা  কেন্দ্র সুপারের প্ররোচণায় আমাকে ৪ জুলাই পরীক্ষার ডিউটি থেকে  অব্যহতি দেন। আমি যাতে নকল  বন্ধ করতে না পারি সে কারণে আমাকে (ভেন্যু কেন্দ্রের ) ডিউটি থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে । এ বিষয়ে যুব উন্নয়ণ কর্মকর্তার কাছে আমাকে অব্যহতি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে, তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ বলে আমাকে জানান। তিনি আরো বলেন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা পরীক্ষা কেন্দ্রে ডিউটি না করে হল সুপারের কক্ষে রসনা বিলাস করে সময় কাটান। তদন্ত করে টিটি স্কুল ভেন্যু ও কাজীমন্টু কলেজ কেন্দ্রে নকল করতে যারা সহায়তা করছেন তাদের অপসারণ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানানো হয়।

এ ব্যাপারে যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ শাহজাহান মোল্লা বলেন,ওই শিক্ষক কোন মেবাইল উদ্ধার করেন নি। কিংবা ওই মেবাইল কারো কাছে তিনি জমাও দেন নি ।তিনি মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করেছেন। উল্টো ওই শিক্ষক নিয়ম ভেঙ্গে হলের মধ্যে নিজের মোবাইল ব্যবহার করেছেন। তিনি প্রতি বছর পরীক্ষার ডিউটিতে এসে বিভিন্ন রকম ঝামেলা সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে । তাই তার ডিউটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র।

কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনূর আক্তার বলেন, আমরা আজ শুক্রবার ওই শিক্ষকের অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Advertise

Ads

Address

Office : Sheikh Fazlul Haque Moni Stadium (2nd floor), Gopalganj-8100 Mobile: 01712235167, Email: kalerkhabor24.com@gmail.com
© All rights reserved 2022

Design & Developed By: JM IT SOLUTION